মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ভাইয়া। আমাদের বিভাগের বিএসসি প্রোগ্রামের ১ম ব্যাচের ছাত্র এবং আমাদের একজন সিনিয়র অ্যালামনাই সদস্য। ভাইয়া বেশ কিছুদিন যাবত মেরুদণ্ড ও চোখের কিছু জটিল সমস্যাসহ আরও অনেক রোগে ভুগছেন।
পরিস্থিত এতটাই ক্ষারাপ যে ভাইয়া এখন ঠিক মতো চোখেও দেখতে পান না।
সিদ্দিক ভাইয়ার ভাষ্য অনুযায়ী,
"২০২২সালে ভারতের চেন্নাইয়ের এপোলো হাসপাতালে মেরুদন্ডের অপারেশন করেছি। একই সাথে শঙ্করা নেত্রানালয়ে দুই চোখের চিকিৎসা এবং সিএমসি হাসপাতালে ১১টি বিভাগে বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা করেছি। ইহাতে আমার প্রায় ১১লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
২০২৪ সালে পুণরায় ভারতের চেন্নাইয়ের শঙ্করা নেত্রানালয়ে দুই চোখের চিকিৎসা করেছি এবং একই সাথে এপোলো হাসপাতালে মেরুদন্ডের অপারেশনের ফলো-আপ করেছি। ইহাতে আমার প্রায় ৩লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে।
বর্তমানে আমার ২চোখের অবস্থা আবার বেশি খারাপ হয়ে গেছে। জরুরী ভিত্তিতে ডান চোখের কর্ণিয়া পরিবর্তন পূর্বক অপারেশন এবং ল্যান্স সংযোজন পূর্বক ক্যাটারেক্ট অপারেশন করতে হবে।একই সাথে একই চোখের ইউভাইটিস, গ্লুকোমা এবং রেটিনাসহ অন্যান্য রোগের চিকিৎসা এবং বাম চোখের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করতে হবে। ইহাতে আমার প্রায় ৫লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে।তাছাড়া এপোলো হাসপাতালে মেরুদন্ডের চিকিৎসার ফলো-আপ এবং অন্যান্য রোগের চিকিৎসা করাসহ ভারতের যাওয়া-আসা করতে আরো প্রায় ২লক্ষ টাকার প্রয়োজন। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ আই হসপিটালের ২জন চিকিৎসক অতি জরুরী ভিত্তিতে ভারতে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য রেফার করেছেন। ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকগণও জরুরী ভিত্তিতে ভারতে গিয়ে চোখের চিকিৎসা গহণের জন্য পরামর্শ প্রদান করেছেন। বর্তমানে আমার চেখে দিনে ২৫-৩০ বার ড্রপ দিতে হয়।
আরো উল্লেখ্য যে, বর্তমানে আমি বারডেম হাসপাতাল, পিজি হাসাপাতাল, ইবনে সিনা হাসপাতাল, মেডিনোভা হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতাল, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, বাংলাদেশ আই হসপিটাল এবং সরকারী কর্মচারী হাসপাতালে নিয়মিত চিকিৎসা গ্রহণ করতেছি। পরীক্ষা-নিরিক্ষা ও ওষুধসহ প্রতি মাসে আমার প্রায় ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়।
মহান আল্লাহ্পাক আমাদের সকলের সহায় হউন। আমীন।"
সিদ্দিক ভাইয়ের এ কঠিন সময়ে আমরা তার পাশে দাড়াবো, ইনশা আল্লাহ। যে কোনো ভাবে ভাইয়াকে আমাদের সিএসই পরিবার থেকে অন্তত ১০ লাখ টাকার চিকিৎসা সহায়তা করবো, ইনশা আল্লাহ।
আপনাদের সবাইকে এ মহৎ উদ্দেশ্য পূরণে ভুমিকা রাখার জন্য বিনীত অনুরোধ করছি।